Ticker

6/recent/ticker-posts

আইসিটি অধ্যায়-২: কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক‌িং । Communication systems and networking


Communication systems and networking
আইসিটি অধ্যায়-:
কমিউনিকেশন সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক‌িং
post-list

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরঃ-

কমিউনিকেশন সিস্টেম কী?
উত্তরঃকম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে বিভিন্ন ডেটা, ফাইল ইত্যাদি সহজ এবং দ্রুততার সাথে আদান-প্রদানের পদ্ধতিকে ডেটা কমিউনিকেশন বলে।

ডেটা ট্রান্সমিশন কী?
উত্তরঃযে বিশেষ পদ্ধতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অথবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন বলা হয়।

ডেটা কমিউনিকেশন সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তরঃতিনটি বৈশিষ্ট্যের উপর ডেটা কমিউনিকেশনের কার্যকারিতা নির্ভর করে। যথা-
অ্যাকুরেসি (Accuracy): সিস্টেমকে অবশ্যই সঠিকভাবে ডেটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ডেলিভারি বা পাঠাতে হবে।
ডেলিভারি (Delivery): সিস্টেমকে অবশ্যই সঠিক প্রান্তে অর্থাৎ গন্তব্যের কাছে ডেটা প্রেরণ করতে হবে।
টাইমলিনেস (Timeliness): নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডেটা প্রেরণ করতে হবে।
ডেটা কমিউনিকেশন উপাদান সমূহের নাম লিখ।
উত্তরঃমূলত ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান হলো পাঁচটি। যথা-
উৎস (Source)
প্রেরক (Sender)
মাধ্যম (Medium)
প্রাপক (Receiver)
গন্তব্য (Destination)

ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বা ব্যান্ডউইডথ কী?
উত্তরঃএক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রতি একক সময়ে যে পরিমাণ ডেটা স্থানান্তরিত হয় তাকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে। এই ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীডকে ব্যান্ডউইডথ বলা হয়ে থাকে। ব্যান্ডউইডথ এর একক bps.

bps বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ–bps এর পূর্ণরূপ হচ্ছে bit per second (bps). ব্যান্ডউইডথ-এর হিসাব করা হয় bps এককে। এক সেকন্ডে যতগুলো বিট এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়, তাকে ব্যান্ডউইডথ বলে।

বিভিন্ন ব্যান্ডউইডথ সম্পর্কে লিখ।
উত্তরঃডেটা ট্রান্সমিশন গতির উপর ভিত্তি করে ব্যান্ডউইডথকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা-
ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band): Speed 45 – 300 bps
ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band): Speed 9600 bps পর্যন্ত
ব্রডব্যান্ড (Broad Band): Speed 1Mb – 1Gb পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি কী?
উত্তরঃবিট বিন্যাসের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অথবা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি বা মেথড বলে।

কমিউনিকেশন মাধ্যম কী?
উত্তরঃডেটা আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে একাধিক ডিভাইস সমূহের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য যে সকল উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে কমিউনিকেশন Medium বা মাধ্যম বলা হয়।

১০বিট সিনক্রোনাইজেশন কী?
উত্তরঃ-ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে সিগন্যাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিই বিট সিনক্রোনাইজেশন নামে পরিচিত।

১১প্যারালাল ট্রান্সমিশন কী?
উত্তরঃ-যে ট্রান্সমিশনে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে ডেটার বিট বিন্যাস সমান্তরালভাবে আদান-প্রদান করতে পারে তাকে প্যারালাল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে।

১২সিরিয়াল ট্রান্সমিশন কী?
উত্তরঃ-যে ট্রান্সমিশনে ডেটা বা তথ্য পর্যায়ক্রমে এক বিট করে আদান-প্রদান করে তাকে সিরিয়াল ট্রান্সমিশন বলা হয়।

১৩অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড কী?
উত্তরঃ-যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে গ্রাহকের নিকট ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার অথবা বিট বাই বিট ডেটা ট্রান্সমিশন করা হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।

১৪িনক্রোনাস ট্রান্সমিশন মেথড কী?
উত্তরঃ-যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে ডেটা সমূহকে ব্লক আকারে ভাগ করে ব্লক বাই ব্লক অথবা প্যাকেট বাই প্যাকেট ট্রান্সমিশন করা হয় তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।

১৫আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি কী?
উত্তরঃ-সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের উন্নত ভার্সন বলা হয়ে থাকে। আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে সিনক্রোনাস এবং অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন উভয়ের বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান থাকে। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সমিশনের দুইটি ব্লকের মধ্যবর্তী সময় ব্যবধান প্রায় শূন্য () একক করার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত রিয়েল টাইম অ্যাপ্লিকেশনে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

১৬ডেটা কমিউনিকেশন/ট্রান্সমিশন মোড কী?
উত্তরঃ-উৎস থেকে গন্তব্যে ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ডেটা প্রবাহের দিককে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডেটা প্রবাহের উপর ভিত্তি করে ট্রান্সমিশন মোডকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স এবং ফুল-ডুপ্লেক্স।

১৭ডেটা কমিউনিকেশন/ট্রান্সমিশন মোডের প্রকারভেদ কী?
উত্তরঃ-মূলত ডেটা কমিউনিকেশনের বা ট্রান্সমিশনের মোড তিন ধরনের। যথা-
সিমপ্লেক্স (Simplex)
হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex)
ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex)

১৮ডেটা কমিউনিকেশনের/ট্রান্সমিশন সিমপ্লেক্স মোডের প্রকারভেদ সমূহ লিখ?
উত্তরঃ-সিমপ্লেক্স ট্রান্সমিশন মোডকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
ইউনিকাস্ট (Unicast)
ব্রডকাস্ট (Broadcast)
মাল্টিকাস্ট (Multicast)

১৯সিমপ্লেক্স মোড কী?
উত্তরঃ-ডেটা ট্রান্সমিশনের এই পদ্ধতিতে ডেটা শুধুমাত্র এক প্রান্ত থেকে প্রেরণ করা যায় এবং অপর প্রান্ত থেকে গ্রহণ করা যায়। অর্থাৎ ডেটা কেবলমাত্র এক দিকে প্রবাহিত হতে পারে। যেমন- পেজার সিস্টেম, রেডিও ইত্যাদি।

২০হাফ-ডূপ্লেক্স মোড কী?
উত্তরঃ-ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে দুই দিকেই অর্থাৎ প্রেরক এবং প্রাপক উভয় দিক থেকেই ডেটা ট্রান্সমিশনের সুযোগ থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সমিশন একই সময়ে বা যুগপৎ ভাবে সম্ভব নয়। অনেকটা রাস্তা একটি কিন্তু যানবাহন দুই দিকেই যেতে সক্ষম। যেমন- ওয়াকিটকি, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ইত্যাদি।

২১ুল-ডূপ্লেক্স মোড কী?
উত্তরঃ-যে ট্রান্সমিশন মোড ব্যবহার করে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ একই সাথে সম্পন্ন করা সম্ভব তাকে ফুল-ডুপ্লেক্স মোড বলা হয়। অনেকটা দুই লেনের রাস্তা এবং যানবাহন দুই দিকেই চলাচল করে। টেলিফোন, মোবাইল ইত্যাদি।

২২ইউনিকাস্ট মোড কী?
উত্তরঃ-ডেটা কেবলমাত্র একজন প্রেরক থেকে একজন প্রাপকের দিকে ডেটা প্রবাহিত হতে পারে। যেমন-পেজার সিস্টেম

২৩ব্রডকাস্ট মোড কী?
উত্তরঃ-প্রেরক সকল প্রাপকের কাছে ডেটা পাঠাতে সক্ষম। অর্থাৎ প্রেরক থেকে ডেটা প্রেরণ করলে নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত যেকোনো প্রাপক কম্পিউটার সেই ডেটা গ্রহণ করতে পারে। যেমন- Television, রেডিও।

২৪মাল্টিকাস্ট মোড কী?
উত্তরঃ-এক্ষেত্রে সকল প্রাপক কম্পিউটার ডেটা পেতে সক্ষম, কিন্তু তারাই নির্দিষ্ট ডেটা দেখতে পারবে যাদেরকে নেটওয়ার্ক অনুমতি দেয়। উদাহরণ- Tele-conferencing, Video-conferencing

২৫অ্যানিকাস্ট মোড কী?
উত্তরঃ-যে ডেটা ট্রান্সমিশনে ডেটা সমূহ অনেকগুলো গন্তব্যের মধ্যে যেকোনো একটি গন্তব্যে গমন করে তাকে অ্যানিকাস্ট ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। একে 1 to 1 of many Association ও বলা হয়ে থাকে।

২৬জিওকাস্ট মোড কী?
উত্তরঃ-যে ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে ডেটা সমূহ ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী স্থানান্তরিত হয় তাকে জিওকাস্ট মোড বলে। এটি এক ধরনের বিশেষ মাল্টিকাস্ট মোড।


Post a Comment

1 Comments

Thank you for your comment.