Ticker

6/recent/ticker-posts

চাঁদে মানুষের অবস্থান |The position of man on the moon




চাঁদে মানুষের অবস্থানঃ

চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং সৌর জগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৩৯৯ কিলোমিটার (প্রায় ২৩৮,৮৫৫ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার (২,১৫৯ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। এর অর্থ দাড়াচ্ছে, চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ। এর পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বল পৃথিবী পৃষ্ঠে অভিকর্ষ বলের এক-ষষ্ঠাংশ। পৃথিবী পৃষ্ঠে কারও ওজন যদি ১২০ পাউন্ড হয় তা হলে চাঁদের পৃষ্ঠে তার ওজন হবে মাত্র ২০ পাউন্ড। এটি প্রতি ২৭.৩২১ দিনে পৃথিবীর চারদিকে একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করে। প্রতি ২৯.৫ দিন পরপর চন্দ্র কলা ফিরে আসে অর্থাৎ একই কার্যক্রম আবার ঘটে। পৃথিবী-চাঁদ-সূর্য তন্ত্রের জ্যামিতিতে পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের কারণেই চন্দ্র কলার এই পর্যানুক্রমিক আবর্তন ঘটে থাকে।


বেরিকেন্দ্র নামে পরিচিত একটি সাধারণ অক্ষের সাপেক্ষে পৃথিবী এবং চন্দ্রের ঘূর্ণনের ফলে যে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ এবং কেন্দ্রবিমুখী বল সৃষ্টি হয় তা পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী। জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির জন্য যে পরিমাণ শক্তি শোষিত হয় তার কারণে বেরিকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে পৃথিবী-চাঁদের যে কক্ষপথ রয়েছে তাতে বিভব শক্তি কমে যায়। এর কারণে এই দুইটি জ্যোতিষ্কের মধ্যে দূরত্ব প্রতি বছর ৩.৮ সেন্টিমিটার করে বেড়ে যায়। যতদিন না পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটার উপর চাঁদের প্রভাব সম্পূর্ণ প্রশমিত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত চাঁদ দূরে সরে যেতেই থাকবে এবং যেদিন প্রশমনটি ঘটবে সেদিনই চাঁদের কক্ষপথ স্থিরতা পাবে।


The moon is the only natural satellite on Earth and the fifth largest in the solar system. The average distance from the center of the earth to the center of the moon is 364,399 kilometers (about 237,755 miles), which is about 30 times the diameter of the earth. The moon has a diameter of 3,484,207 kilometers (2,159 miles), which is slightly more than a quarter of the diameter of the earth. This means that the size of the moon is 1 / 50th of the size of the earth. The force of gravity on its surface is one-sixth of the force of gravity on the surface of the earth. If someone weighed 120 pounds on the surface of the earth, they would weigh only 20 pounds on the surface of the moon. It completes one full rotation around the earth every 26,321 days. Lunar bananas come back every 29.5 consecutive days, meaning the same thing happens again. This hierarchical rotation of the lunar collar is due to the periodic change in the geometry of the Earth-Moon-Sun system.


The gravitational pull and centrifugal force created by the rotation of the Earth and the Moon relative to a common axis known as the berikentra is largely responsible for the tides on the Earth. Due to the amount of energy that is absorbed to create the tides, the potential energy decreases in the Earth-Moon orbit around the center of the bari. Due to this, the distance between these two celestial bodies increases by 3.8 cm every year. As long as the effect of the moon on the tides on the earth is not completely mitigated, the moon will continue to move away and the orbit of the moon will be stable on the day of mitigation.


প্রাচীনকালে সংস্কৃতি ছিল বিরল, বেশির ভাগ মানুষেরই নির্দিষ্ট কোনো বাসস্থান ছিল না। তারা মনে করত, চাঁদ প্রত্যেক রাত্রি মরে ছায়ার জগতে চলে যায়। অন্যান্য সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করত যে চাঁদ সূর্যকে পিছু করছে। পিথাগোরাসের সময়ে, চাঁদকে একটি গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মধ্যযুগে কিছু মানুষ বিশ্বাস করত যে চাঁদ হয়তো একটি নির্ভুলভাবে মসৃণ গোলক যা অ্যারিস্টটলের তত্ত্ব সমর্থন করত এবং অন্যান্যরা মনে করত সেখানে সাগর আছে (সাগর বলতে চাঁদের উপরিতলের অন্ধকার অঞ্চলকে বোঝায় যা চিত্র শব্দতে এখনও ব্যবহার করে)। ১৬০৯ সালে গ্যালিলিও যখন তাঁর দূরবীক্ষণ চাঁদের দিকে ধরলেন, তিনি দেখলেন যে চাঁদের উপরিতল মসৃণ ছিল না। তা ক্ষুদ্র কালো রেখা, উপত্যকা, পর্বত এবং খাদের গঠিত হয়। সেই মুহূর্ত থেকে তিনি অনুভব করতে শুরু করেন যে এটি পৃথিবীর মতোই একটি কঠিন গলিত পদার্থ ছিল যা পরে এই রূপ নেয়। ১৯২০ সালেও মনে করত যে চাঁদের শ্বাস গ্রহণের উপযোগী বায়ুমণ্ডল আছে (অথবা ঐ সময় বিজ্ঞানের কাল্পনিক বানোয়াট গল্প বলত) এবং কিছু জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি ক্ষুদ্র বায়ু স্তরের উপস্থিতি আছে বলে অনুমান করত কারণ চাঁদ পর্যবেক্ষণ সময় তারা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু উড়ন্ত বস্তু দেখে ছিল। 


চাঁদই একমাত্র জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু যাতে মানুষ ভ্রমণ করেছে এবং যার পৃষ্ঠতলে মানুষ অবতরণ করেছে। প্রথম যে কৃত্রিম বস্তুটি পৃথিবীর অভিকর্ষ অতিক্রম করেছিল এবং চাঁদের কাছ দিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল তা হল সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা ১। লুনা ২ প্রথবারের মত চাঁদের পৃষ্ঠতলকে প্রভাবান্বিত করেছিল। চাঁদের দূরবর্তী যে অংশটা স্বাভাবিকভাবে লুকায়িত থাকে তার প্রথম সাধারণ ছবি তুলেছিল লুনা ৩। এই তিনটি ঘটনাই সোভিয়েত ইউনিয়নের পরিচালনায় ১৯৫৯ সালে সংঘটিত হয়। ১৯৬৬ সালে লুনা ৯ প্রথমবারের মত চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে এবং লুনা ১০ প্রথমবারের মতো চাঁদের কক্ষপথ পরিক্রমণ করতে সমর্থ হয়। যুক্তরাষ্ট্র এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে পাল্লা দিতে অ্যাপোলো প্রকল্প শুরু করে। পরে ১৯৬৯ সালে, অ্যাপোলো-১১ অভিযান প্রথমবারের মতো চাঁদে মনুষ্যবাহী নভোযান অবতরণ করাতে সমর্থ হয়। নিল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন ছিলেন প্রথম মানুষ যাঁরা চাঁদে হেঁটেছেন । পরে আরও ১০ মানুষ কেবল চাঁদে হেঁটেছিল। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে ছয়টি নভোযান চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে। অ্যাপোলো অভিযানের পর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চাঁদে মানুষ পাঠানোর সকল পরিকল্পনা ত্যাগ করে। ২০০৯ সালে প্রথম দিকে ভারত, চন্দ্রযান নামে একটি মহাকাশযান চাঁদে পাঠায়। কিন্তু প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়। মহাকাশযান চাঁদে পৌঁছার পর পরেই তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু অল্প সময়ে যে তথ্য পাঠিয়েছে তা মানব জাতিকে নতুন করে আশার আলো দেখিয়েছে চাঁদে জীবের অস্তিত্ব থাকার কারণ সেখানে পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে৷ তবে ২০১৯ সালের ২২ জুলাই ভারতের ইসরো, চন্দ্রযান-২ নামে পুনরায় একটি মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ করে।


The culture was rare in ancient times, most people had no fixed abode. They thought that the moon died every night and went to the world of shadows. Other cultures believed that the moon was following the sun. In Pythagoras' time, the moon was considered a planet. In the Middle Ages, some people believed that the moon was probably a perfectly smooth sphere that supported Aristotle's theory and others thought that there was an ocean (ocean refers to the dark region on the surface of the moon which is still used in figurative words). When Galileo turned his telescope to the moon in 1809, he noticed that the surface of the moon was not smooth. It consists of tiny black lines, valleys, mountains, and canyons. From that moment on he began to realize that it was a solid molten substance like the earth that later took this form. The 1920s also thought that the moon had a breathing atmosphere (or science fiction at the time) and some astronomers assumed the presence of a tiny air layer because they saw some unwanted flying objects while observing the moon. The moon is the only astronomical object on which man has traveled and on whose surface man has landed. The first artificial object to cross the Earth's gravity and be able to fly close to the moon was Luna 1 in the Soviet Union. Luna 2 affected the surface of the moon for the first time. Luna 3 took the first general picture of the distant part of the moon that is naturally hidden. All three of these events took place in 1959 under the auspices of the Soviet Union. In 1986, Luna 9 landed on the moon for the first time, and Luna 10 was able to orbit the moon for the first time. The United States, meanwhile, launched the Apollo project to compete with the Soviet Union. Later in 1989, the Apollo 11 mission was able to land a manned spacecraft on the moon for the first time. Neil Armstrong and Buzz Aldrin were the first people to walk on the moon. Later 10 more people just walked on the moon. Between 1989 and 1982, six spacecraft landed on the lunar surface. After the Apollo mission, astronomers abandoned all plans to send people to the moon. In early 2009, India sent a spacecraft named Chandrayaan to the moon. But the project failed. As soon as the spacecraft reached the moon, communication with it was cut off. But the information sent in a short time has given a new light of hope to the human race. The existence of life on the moon has been found because of the existence of water there. However, on July 22, 2019, ISRO, India successfully launched another spacecraft named Chandrayaan-2.


জোয়ার-ভাটা

পৃথিবী-চন্দ্র সমাহারের অবিরত পরিবর্তন হচ্ছে। জোয়ার-ভাটার সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে। চাঁদের আকর্ষণে চাঁদের দিকে অবস্থিত সমুদ্রের জল তার নিচের মাটি অপেক্ষা বেশি জোরে আকৃষ্ট হয়। এ কারণে চাঁদের দিকে অবস্থিত জল বেশি ফুলে উঠে। আবার পৃথিবীর যে অংশে অবস্থিত জল চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে, সেদিকের সমুদ্রের নিচের মাটি তার উপরের জল অপেক্ষা চাঁদ কর্তৃক অধিক জোরে আকৃষ্ট হয়। কারণ এই মাটি জল অপেক্ষা চাঁদের বেশি নিকটবর্তী। ফলে সেখানকার জল মাটি থেকে দূরে সরে যায় অর্থাৎ ছাপিয়ে উঠে। এক্ষেত্রে ফুলে উঠার কাহিনীটিই ঘটে। পৃথিবী যে সময়ের মধ্যে নিজ অক্ষের চারদিকে একবার আবর্তন করে (এক দিনে) সে সময়ের মধ্যে পৃথিবীর যে-কোন অংশ একবার চাঁদের দিকে থাকে এবং একবার চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে। এ কারণে পৃথিবীর যে-কোন স্থানে দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা হয়।


তবে জোয়ার-ভাটার জন্য সূর্যের আকর্ষণও অনেকাংশে দায়ী। তবে অনেক দূরে থাকায় সূর্যের আকর্ষণ চাঁদের আকর্ষণের থেকে কম কার্যকর। সূর্য এবং চাঁদ যখন সমসূত্রে পৃথিবীর একই দিকে বা বিপরীত দিকে অবস্থান করে তখন উভয়ের আকর্ষণে সর্বাপেক্ষা উঁচু জোয়ার হয়, জোয়ারের জল বেশি ছাপিয়ে পড়ে। এই অবস্থাকে ভরা কাটাল বা উঁচু জোয়ার বলা হয়। আর পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্য এবং চাঁদের মধ্য কৌণিক দূরত্ব যখন এক সমকোণ পরিমাণ হয় তখন একের আকর্ষণ অন্যের আকর্ষণ দ্বারা প্রশমিত হয়। তাই সবচেয়ে নিচু জোয়ার হয় যাকে মরা কাটাল বলে আখ্যায়িত করা হয়। জোয়ার বলতে আমরা শুধুমাত্র সমুদ্রের জলের স্ফীতিকেই বুঝি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে চাঁদ-সূর্যের আকর্ষণে পৃথিবীর স্থলভাগেও অনুরূপ প্রভাবের সৃষ্টি হয়। তাই বলা যায় , জোয়ার -ভাটার ক্ষেত্রে চাঁদ ও সূর্য এবং এদের মধ্যকার আকর্ষন বল ও অবস্থান মুখ্য ভুমিকা পালন করে।


Tides:

The Earth-Moon combination is constantly changing. It has to do with tides. The attraction of the moon attracts the water of the sea towards the moon more strongly than the soil below it. Due to this, the water on the side of the moon swells more. On the other hand, in the part of the earth where the water is on the opposite side of the moon, the soil below the sea is attracted more by the moon than the water above it. Due to this, the water on the side of the moon swells more. On the other hand, in the part of the earth where the water is on the opposite side of the moon, the soil below the sea is attracted more by the moon than the water above it. Because this soil is closer to the moon than water. As a result, the water moves away from the soil. In this case, the story of swelling occurs. During the time that the earth revolves around its axis once (in a day) any part of the earth is once towards the moon and once opposite the moon. That is why anywhere in the world there are two tides and two low tides.


However, the attraction of the sun is also largely responsible for the tides. However, due to the distance, the attraction of the sun is less effective than the attraction of the moon. When the sun and the moon are on the same side or opposite to the earth, the highest tide is in the attraction of both, the tidal water is more impressive. This condition is called high tide or high tide. And when the angular distance between the sun and the moon around the earth is one right angle, then the attraction of one is alleviated by the attraction of the other. So the lowest tide is the one that is called Mara Katal. By tides, we mean only the swelling of the seawater. But in fact, the attraction of the moon and the sun has a similar effect on the earth's surface. Therefore, it can be said that the moon and the sun and the gravitational force and position between them play a major role in the tide.


grid-small

Post a Comment

0 Comments