নিউক্লিয়াসের নাড়িভুড়ি
MCQ COLOR
নিউক্লিয়াস হল প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন, পর্দাঘেরা এবং প্রায় গোলাকার অংশ।যা কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তাকে বলা হয় নিউক্লিয়াস ৷ রবার্ট ব্রাউন(Robert Brown) সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালে কোষে নিউক্লিয়াস দেখতে পান এবং এর নামকরণ করেন।তিনিই এটি আবিষ্কার করেন সর্বপ্রথম। এটি ৪ টি অংশে বিভক্ত।
নিউক্লিয়াসের সংজ্ঞাঃ
প্রকৃত কোষের সাইটোপ্লাজমে দ্বিস্তরী আবরণ দ্বারা আবৃত যে গোলাকার অঙ্গাণু ক্রোমাটিন জালিকা ধারণ করে এবং সুস্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে নিউক্লিয়াস বলে । নিউক্লিয়াস কোষের অপরিহার্য অংশ এবং কোষের যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে । এজন্য একে কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়।
বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্যঃ
কোষ নিউক্লিয়াস একটি দ্বিগুণ ঝিল্লি দ্বারা আবদ্ধ যা পরমাণু লিফট বলে । এই ঝিল্লি নিউট্রিয়াসের সাইটল্লাজম থেকে আলাদা করে।
কোষের ঝিল্লির মতো, পারমাণবিক লিফট ফসফোলিপিডস গঠিত হয় যা একটি লিপিড বিলিয়ার তৈরি করে। খামে নিউক্লিয়াসের আকৃতি বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং নিউক্লিয়াসের পারমাণবিক পুকুরের মাধ্যমে অণুর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পারমাণবিক বিস্ফোরণটি এন্ডোপ্লাজাসিক জীবাণুমুক্ত (ইআর) সাথে এমনভাবে সংযুক্ত করা হয় যে, পারমাণবিক লিফাফলের অভ্যন্তরীণ অংশটি ER এর লুমেনের সাথে ক্রমাগত।
নিউক্লিয়াস হল ইঙ্গেল যা ক্রোমোসোম রাখে । ক্রোমোসোম ডিএনএ গঠিত, যা বংশবৃদ্ধি তথ্য এবং সেল বৃদ্ধি, উন্নয়ন, এবং প্রজনন জন্য নির্দেশাবলী রয়েছে। যখন একটি ঘর "বিশ্রাম" হয় অর্থাৎ বিভক্ত হয় না, তখন ক্রোমোসোম ক্রোমাটিন নামক দীর্ঘস্থায়ী কাঠামোর মধ্যে সংগঠিত হয় এবং পৃথক ক্রোমোসোমে নয়, যেমন আমরা সাধারণত তাদের মনে করি।
Nucleoplasm
নিউক্লোপ্লাজম হল পারমাণবিক খামের মধ্যে জেলটিনস পদার্থ। ক্যারাোপ্লাজ নামেও পরিচিত, এই আধা-জলীয় পদার্থটি বিষক্রিয়াগত মাথাব্যথা যা সমতুল্য। এর মধ্যে প্রধানত জলের দ্রবণযুক্ত লবণ, এনজাইম এবং জৈব অণুগুলির মধ্যে সাসপেন্ড করা হয়।
নিউক্লিওলাস এবং ক্রোমোসোম নিউক্লোপ্লাজম দ্বারা ঘিরে থাকে, যা নিউক্লিয়াসের বিষয়বস্তুকে ঘর্ষণ এবং সুরক্ষিত রাখে। নিউক্লোপ্লাজম তার আকৃতি বজায় রাখতে সাহায্য করে নিউক্লিয়াসকে সমর্থন করে। উপরন্তু, নিউক্লোপ্লাজম একটি মাধ্যম প্রদান করে, যা এনজাইমস এবং নিউক্লিওটাইড (ডিএনএ এবং আরএনএ সাবউইটস) -এর মত পদার্থ নিউক্লিয়াসে পরিবাহিত হতে পারে।
পারমাণবিক ছত্রাক মাধ্যমে বিষক্রিয়াগত মাথাব্যথা এবং নিউক্লিপ্লাস মধ্যে পদার্থ বিনিময় করা হয়।
গঠনঃ
এর আকৃতি গোলাকার, ডিম্বাকার, নলাকার, উপবৃত্তাকার, প্যাঁচানো থালার মত এবং শাখান্বিত হতে পারে ৷ রাসায়নিকভাবে নিউক্লিয়াস মূলত প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা গঠিত। এতে অন্যান্য উপাদানও থাকে। যেমনঃ প্রোটিন (Protein), আরএনএ(RNA), ডিএনএ(DNA) । সিভকোষ বা লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না ৷ নিউক্লিয়াসে বংশগতির বৈশিষ্ট্য নিহিত ৷ এটি কোষে সংঘটিত বিপাকীয় কার্যাবলিসহ সব ক্রিয়া-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ৷ সুগঠিত নিউক্লিয়াসে নিচের অংশগুলো দেখা যায়:
নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বা নিউক্লিও পর্দাঃ
নিউক্লিয়াস কে ঘিরে রাখে যে ঝিল্লি তাকে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বলে ৷ এটি দ্বিস্তরবিশিষ্ট ঝিল্লি ৷ এ ঝিল্লি লিপিড ও প্রোটিন এর সমন্বয়ে গঠিত ৷ এ ঝিল্লীতে মাঝে মাঝে কিছু ছিদ্র থাকে, একে নিউক্লিয়ার রন্ধ্র বলে ৷ এই ছিদ্রের মাধ্যমে কেন্দ্রিকা ও সাইটোপ্লাজম এর মধ্যে কিছু বস্তু চলাচল করে ৷ এই ঝিল্লী সাইটোপ্লাজম থেকে কেন্দ্রিকার অন্যান্য বস্তুকে পৃথক করে ও বিভিন্ন বস্তুর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ৷
নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বা নিউক্লিও পর্দা এর কাজঃ
নিউক্লিয়াসকে রক্ষণাবক্ষেণ করা এর প্রধান কাজ। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ অঙ্গাণুগুলোকে সাইটোপ্লাজম থেকে পৃথক করে রাখে।
নিউক্লিওপ্লাজমঃ
কেন্দ্রিকা ঝিল্লির অভ্যন্তরে জেলির ন্যায় বস্তু বা রসকে কেন্দ্রিকারস বা নিউক্লিওপ্লাজম বলে ৷ কেন্দ্রিকা রসে নিউক্লিক অ্যাসিড , প্রোটিন , উৎসেচক, আরএনএ,বিভিন্ন এনজাইম, (ডিএনএ পলিমারেজ, আরএনএ পলিমারেজ, নিউক্লিওটাইড ট্রাইফসফাটেজ, নিউক্লিওসাইড ফসফোরাইলেজ, কাইS নেজ, ডিহাইড্রোজিনেজ, এন্ডোনিউক্লয়েজ), আরএনপি দানা, অল্প পরিমাণে লিপিড ও কতিপয় খনিজ লবণ থাকে ৷
নিউক্লিওপ্লাজম এর কাজঃ
এখানে নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন তন্তু অবস্থান করে। নিউক্লিয়াসের রসস্ফীতি অবস্থা বজায় রাখা ও নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা।
নিউক্লিওলাসঃ
নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকার মধ্যে ক্রোমোজম এর সাথে লাগানো গোলাকার বস্তুকে নিউক্লিওলাস বা কেন্দ্রিকাণু বলে ৷১৭৮১ সালে বিজ্ঞানী ফনটানা(Fontana) সর্বপ্রথম নিউক্লিওলাস আবিষ্কার করেন। ক্রোমোজোমের রঙঅগ্রাহী অংশের সাথে এরা লেগে থাকে ৷ এরা RNA ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত ৷ এরা নিউক্লিক অ্যাসিড মজুত করে ও প্রোটিন সংশ্লেষণ করে ৷ ক্রোমোজোমের যে স্থানে নিউক্লিওলাস সংযুক্ত থাকে তাকে বলা হয় SAT বা স্যাটেলাইট।
ক্রোমাটিন জালিকা বা নিউক্লিও জালিকাঃ
কোষের বিশ্রামকালে কেন্দ্রিকায় কুন্ডলী পাকানো সূক্ষ্ম সুতার ন্যায় অংশই হল ক্রোমাটিন জালিকা ৷ কোষ বিভাজনের সময় এরা মোটা ও খাটো হয় তাই তখন তাদের আলাদা ক্রোমোজোম দেখা যায় ৷ ক্রোমোজোম এর দুইটি অংশ রয়েছে।
ইউক্যারিওটিক সেল স্ট্রাকচারঃ
কোষের নিউক্লিয়াস কেবল এক ধরনের কোষবিশিষ্ট অঙ্গ । নিম্নোক্ত সেল স্ট্রাকচারগুলিকে একটি সাধারণ প্রাণী ইউক্যারিওটিক সেল পাওয়া যেতে পারে:
- Centrioles - মাইক্রোব্লুবিলেস সমাবেশ সংগঠিত সাহায্য।
- ক্রোমোজোমস - হাউস সেলুলার ডিএনএ
- সিলিয়া এবং ফ্লাগেলা - সেলুলার হিমোমেশনে সহায়তা।
- সেল ঝিল্লি - কোষের অভ্যন্তরের অখণ্ডতা রক্ষা করে।
- এন্ডোপ্লাজমিক ব্যাক্টেরিয়াম - কার্বোহাইড্রেট এবং লিপিড synthesizes।
- গলগি কমপ্লেক্স - কিছু সেলুলার পণ্য তৈরি, স্টোর এবং জাহাজ
- লাইসোসোম - ডাইজেস্ট সেলুলার ম্যাক্রোমুলিকুলস
- মাইটোকন্ড্রিয়া - কোষের জন্য শক্তি প্রদান
- রিবোসোমেস - প্রোটিন উৎপাদনের জন্য দায়ী।
- Peroxisomes - অ্যালকোহল নির্ণয়, বাইাইল এসিড গঠন, এবং ফ্যাট ভাঙ্গা অক্সিজেন ব্যবহার।
0 Comments
Thank you for your comment.