Ticker

6/recent/ticker-posts

ডেটা ট্রান্সমিশন কি, ডেটা ট্রান্সমিশন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।What is data transmission, detailed idea about data transmission.


তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
(দ্বিতীয় অধ্যায়)
What is data:
The word data is the plural of the Latin word datum. Datum means the element of information. The smaller parts of the data are the data. Data is input or supplied to the computer to be processed into data. Computers basically process data and convert it into information. For example, to create a pay-rail for the employees of an organization, their name, surname, code number, basic salary, etc. are the data. Data can be symbols of different languages, such as A, A, A, B, f, 1, 3, etc., or any image, such as the moon, sun, car, airplane, or anything else. There is a system to convert these symbols into computer language or machine code to make them suitable for computer understanding.

ডেটা কিঃ

Data শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Datum-এর বহুবচন। Datum অর্থ হচ্ছে তথ্যের উপাদান। তথ্যের অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্রতর অংশসমূহ হচ্ছে ডেটা বা উপাত্ত। প্রক্রিয়াকরণ করে তথ্যে পরিণত করার জন্য কম্পিউটারে ডেটা বা উপাত্তসমূহকে ইনপুট বা সরবরাহ করা হয়। কম্পিউটার মূলত ডেটাকে প্রক্রিয়া বা প্রসেস করে তথ্যে রূপান্তরিত করে। যেমন- কোন একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পে-রােল তৈরি করার জন্য তাদের নাম, পদবি, কোড নং, মূল বেতন ইত্যাদি হলো ডেটা। ডেটা বিভিন্ন ভাষার প্রতীক, যেমন- , , A, B, f, 1, 3 ইত্যাদি অথবা কোন ছবি, যেমন- চন্দ্র, সূর্য, গাড়ি, এ্যারোপ্লেন বা অন্য যেকোন কিছু হতে পারে। প্রতীকগুলোকে কম্পিউটারে বোঝার উপযোগী করার জন্য কম্পিউটারের ভাষায় বা মেশিন কোডে রূপান্তরের ব্যবস্থা থাকে।

Data types:
There are mainly three types of data, viz
1. Numeric Data
2. Boolean Data
3. Non-Numeric Data
Numeric Data:
Numeric means numbers. Numbers are made up of numbers. Numerical data is all the data that refers to any quantity or number. The amount can be of two types. Namely, whole and fractions. So there are two types of numeric data.
1. Full numeric data o
2. Fractional numeric data

These are called Integer and Floating-Point respectively. There are many types of integers. For example- Byte, Long, Sign, Unsign, etc. Similarly, there are multiple types of floating points. Such as- Float (Float), Double (Double) etc. It all depends on the structure of the different programming languages.

ডেটার প্রকারভেদ:
ডেটা প্রধানত তিন প্রকার, যথাঃ


. নিউমেরিক ডেটা (Numeric Data)

. বুলিয়ান ডেটা (Boolean Data)

. নন-নিউমেরিক ডেটা (Non-Numeric Data)


নিউমেরিক ডেটা (Numeric Data):
নিউমেরিক অর্থ হচ্ছে অঙ্ক। অঙ্ক দিয়ে তৈরি হয় সংখ্যা। যে সকল ডেটা দ্বারা কোন পরিমাণ বা সংখ্যা বোঝানো হয় তাই নিউমেরিক ডেটা। পরিমাণ দুই রকম হতে পারে। যথা, পূর্ণ এবং
ভগ্নাংশ। তাই নিউমেরিক ডেটাও দুই প্রকার।




. পূর্ণ নিউমেরিক ডেটা

. ভগ্নাংশ নিউমেরিক ডেটা



এদেরকে যথাক্রমে ইন্টিজার (Integer) ফ্লোটিং পয়েন্ট (Floating Point) বলা হয়। ইন্টিজার আবার অনেক রকমের হয়ে থাকে। যেমন- বাইট (Byte), লং (Long), সাইন (Sign), আন-সাইন (Unsign) ইত্যাদি। একইভাবে ফ্লোটিং পয়েন্টও একাধিক রকমের হয়ে থাকে। যেমন- ফ্লোট (Float), ডাবল (Double) ইত্যাদি। এসবই নির্ভর করে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষার গঠনের উপর।


Boolean Data:
Boolean data has two forms. For example, True and False. Boolean data is usually used to determine the true or false condition of a particular condition.
Non-numeric Data:
Data are other than boolean data and numeric data. They are called non-numeric data. For example, Image, Audio, Character, Sentence, Name, etc. can be many things. Non-numeric data is further divided into three main categories. E.g.

বুলিয়ান ডেটা (Boolean Data):

বুলিয়ান ডেটার দুইটি রূপ থাকে। যথা- সত্য এবং মিথ্যা (True or False) সাধারণত কোন নির্দিষ্ট অবস্থার সত্য বা মিথ্যা অবস্থা (Condition) বােঝাবার জন্য বুলিয়ান ডেটা ব্যবহার করা হয়।

নন-নিউমেরিক ডেটা (Non-numeric Data):
বুলিয়ান ডেটা নিউমেরিক ডেটা ব্যতীত অন্য যেসব ডেটা আছে। তাদের -নিউমেরিক ডেটা বলে। যেমন, কোন কিছুর ইমেজ (Image), শব্দ (Audio), অক্ষর (Character), বাক্য (Sentence), কোন কিছুর নাম ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে। -নিউমেরিক ডেটাগুলােকে আবার প্রধান তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। যথাঃ



. ক্যারেক্টার (Character)

. স্ট্রিং (String)

. অবজেক্ট (Object)

Character:
Examples of data of any character, symbol or sign character type. Examples of different character type data such as A, A, B, B etc.
String:
The concept of string is a little broad. A string can be composed of multiple characters. For example, Book is a string. Anu, Kiran, Syedpur names are also a string.
Object:
Object literally means object. However, the object data type is used in a collective sense. There could be a lot of objects here. For example, a video, audio, picture or graphics file. Again an overall system of an information system can also be an object. Objects are an important data type in modern information systems.
Data transmission method:

There are several ways to send a destination from a source. There are two ways of data transmission based on how many bits of data can be sent to each BA simultaneously.



ক্যারেক্টার (Character):
যেকোন অক্ষর, প্রতীক বা চিহ্ন ক্যারেক্টার টাইপের ডেটার উদাহরণ। যেমন A, , , b ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যারেক্টার টাইপের ডেটার উদাহরণ।



স্ট্রিং (String):
স্ট্রিং এর ধারণা একটু ব্যাপক। একাধিক ক্যারেক্টারের সমন্বয়ে স্ট্রিং গঠিত হতে পারে। যেমন, Book একটি স্ট্রিং। আবার অণু, কিরণ, সৈয়দপুর নামগুলােও এক একটি স্ট্রিং।



অবজেক্ট (Object):
আক্ষরিক অর্থে অবজেক্ট মানে হচ্ছে বস্তু। তবে অবজেক্ট ডেটা টাইপটি সামষ্টিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। এখানে অবজেক্ট হতে পারে অনেক কিছু। যেমন, একটি ভিডিও, অডিও, ছবি বা গ্রাফিক্স ফাইল। আবার কোন ইনফরমেশন সিস্টেমের একটি সামগ্রিক পদ্ধতিও অবজেক্ট হতে পারে। আধুনিক ইনফরমেশন সিস্টেমে অবজেক্ট একটি গুরত্বপূর্ণ ডেটা টাইপ।

ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড:
উৎস থেকে গন্তব্য পাঠানোর বেশ কয়কটি পদ্ধতি আছে । প্রতি বাএ একসাথে কত বিট ডেটা পাঠানো যায় তার উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশনের দুটি উপায় আছে ।

E.g.
Parallel data transmission:
The transmission in which data is exchanged in parallel is called parallel data transmission. This method sends data through multiple cables. Normally 6 bit 16 bit or 32 bit data can be transmitted in this transmission. This method is not cost effective as it costs a lot of wires when the distance is high. The parallel method is used to send data to the printer.
Serial data transmission:
The transmission in which data is exchanged by 1 bit in a periodic period is called serial data transmission. This method sends eight bits of data at a time. If the distance from the source to the destination is greater, there is no other way but to use this method.
When data is transmitted from one computer to another, there must be a compromise between the two computers so that they can understand the beginning and end of the signal bit. Cannot understand the beginning and end of the bit. If the recipient computer does not understand the beginning and end of the bit, it cannot recover data from that signal. The method used to coordinate different bits when sending this signal is called serial data transmission.
Serial data transmission can be divided into three parts
Asynchronous transmission
Synchronous transmission
Isocronus transmission
Answer:

1. Asynchronous transmission:

যথা ঃ
প্যারালাল ডেটা ট্রান্সমিশন :
যে ট্রান্সমিশনে ডেটা সমান্তরালভাবে আদান প্রদান হয় তাকে প্যারালাল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে । এই পদ্ধতি একাধিক তারের মধ্যে দিয়ে ডেটা পাঠানো হয় । সাধারনত এ ট্রান্সমিশনে ৮বিট ১৬ বিট বা ৩২ বিট ইত্যাদি ডেটা চলাচল করতে পারে । দূরত্ব বেশি হলে এই পদ্ধতিতে অনেক তারের খরচ লাগে বলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা মূল্য সাশ্রয়ী নয় । প্রিন্টারে ডেটা পাঠানো জন্য প্র্যারালাল পদ্ধতি ব্যবহারিত হয় ।
সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন :
যে ট্রান্সমিশনে ডেটা তথ্য পর্যায়ক্রমে ১ বিট করে আদান প্রদান করে তাকে সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে । এই পদ্ধতিতে একসাথে আট বিট ডেটা পাঠানো হয়ে থাকে ।উৎস থেকে গন্তব্য পর্যন্ত দূরত্ব বেশি হলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই ।
এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশন হওয়ার সময় অবশ্যই দুই কম্পিউটারে মধ্যে এমন একটি সমঝোতা থাক দরকার যাতে সিগনাল বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে পারে । বিটের শুরু ও শেষ বুঝতে পারে না ।বিটের শুরু ও শেষে বুঝতে না পারলে  গ্রাহিতা কম্পিউটার সেই সিগনাল থেকে ডেটা পুনরুদ্ধার করতে পারে না । এই সিগনাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার পদ্ধতিকে বলা হয় সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন ।
সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশনকে তিনভাগে ভাগ করা যায় ঃ 
  • অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন
  • সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন
  • আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন


উত্তর:


 ১. অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন:


A transmission system in which character by character is transmitted from the sender to the customer, i.e. one by one, is called asynchronous transmission.
Asynchronous transmission features:
1. Data exchange is possible at any time. Such as: e-mail, SMS etc.
2. The time between sending two consecutive characters is not the same but different.
3. Each character has a start bit at the beginning and a stop bit at the end.
Advantages of asynchronous transmission:
1. The sender can transfer the data at any time and the customer can receive it.
2. No primary storage device is required from the sender for data transmission.
3. Its installation cost is very low.
4. This method is more useful in an environment where a small amount of data transmission is required.
Disadvantages of asynchronous transmission:
1. When data transfer is stopped, the transmission-medium is left unused, which in some cases is very expensive.
2. Its efficiency is lower than that of a synchronous transmission.
3. Data transmission speed is relatively slow.
Use of asynchronous transmission:
1. From a computer to a printer
2. From cardreader to computer or from computer to cardreader
3. Asynchronous transmission methods are used to transfer data from the keyboard to the computer.

2. Synchronous transmission


যে ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক থেকে গ্রাহকের কাছে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার, অর্থাত্ একটা একটা করে ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করা হয়, তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্য:

১। যেকোনো সময় ডেটা আদান-প্রদান সম্ভব। যেমন: -মেইল, এসএমএস ইত্যাদি।

২। পরপর দুটি ক্যারেক্টার পাঠানোর মধ্যবর্তী সময় সমান না হয়ে ভিন্ন হয়ে থাকে।

৩। প্রতিটি ক্যারেক্টারের শুরুতে একটা স্টার্ট বিট এবং শেষে একটা স্টপ বিট থাকে।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের সুবিধা:

১। প্রেরক যেকোনো সময় ডেটা স্থানান্তর করতে পারে এবং গ্রাহক তা গ্রহণ করতে পারে।

২। ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোনো প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না।

৩। এটির ইন্সটলেশন ব্যয় অত্যন্ত কম।

৪। অল্প করে ডেটার ট্রান্সমিশন প্রয়োজনএমন পরিবেশে এই পদ্ধতি বেশি উপযোগী।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের অসুবিধা:

১। যখন ডেটা স্থানান্তরের কাজ বন্ধ থাকে, তখন ট্রান্সমিশন-মাধ্যমটি অকারণে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে, যা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

২। সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের তুলনায় এর দক্ষতা কম।

৩। ডেটা ট্রান্সমিশনের গতি অপেক্ষাকৃত মন্থর।

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের ব্যবহার:

১। কোনো কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে

২। কার্ডরিডার থেকে কম্পিউটারে কিংবা কম্পিউটার থেকে কার্ডরিডারে

৩। কি-বোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।


  ২.সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনঃ






  







প্রকার ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক স্টেশনে প্রথমে ডেটাকে কোনো প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইস সংরক্ষণ করে নেয়া হয়। অতঃপর ডেটার ক্যারেক্টার সমূহকে ব্লক (যাকে প্যাকেটও বলা হয়) আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়। সাধারণতঃ কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

তিটি ব্লকে কমপক্ষে ৮০ থেকে ১৩২টি ক্যারেক্টার থাকে।




·  প্রতি দু' টি ব্লকের মাঝখানের সময় বিরতি নির্ধারিত সময় হয়ে থাকে।
·   প্রতিটি ব্লক ডেটার শুরুতে একটি হেডার ইনফরমেশন  শেষে একটি ট্রেইলর 
   ইনফরমেশন সিগন্যাল পাঠানো হয়। হেডার সিগন্যাল রিসিভারের ক্লক গতিকে
   প্রেরকের ক্লক গতির সাথে সিনক্রোনাইজ করে এবং প্রেরক গ্রাহকের চিহ্নিতকরণের
   সংখ্যা বহন করে থাকে। আর ট্রেইলর ব্লকের শেষ বুঝানোর তথ্য বহন করে। তাছাড়া 
   ডেটার মধ্যে কোনো ভুল আছে কিনা তা যাচাই করতে সহায়তা করে থাকে।
·   ডেটা স্থানান্তরের গতি বেশি বিধায় অল্প সময়ে অনেক ডেটা পাঠানাে যায়।
·   এক্ষেত্রে প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়।



   সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের সুবিধাসমূহঃ



·    সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা এসিনক্রোনাস এর তুলনায় অত্যন্ত বেশি।
·    যেহেতু ট্রান্সমিশন কার্য অনবরত চলতে থাকে ফলে তার ট্রান্সমিশন গতি অত্যন্ত বেশি।
·     প্রতি ক্যারেক্টারের পর টাইম ইন্টারভেল এর প্রয়োজন হয় না এবং প্রতি ক্যারেক্টারের শুরু
    এবং     শেষে Start এবং Stop bit এর প্রয়োজন হয় না।
·     সময় তুলনামূলকভাবে কম লাগে।


  সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের অসুবিধাসমূহঃ



·  এক্ষেত্রে প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়।
·  এটি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল।


  সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর ব্যবহারঃ 


 কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারের ডেটা কমিউনিকেশনের সময়, এক স্থান হতে দূরবর্তী কোনো
 স্থানে ডেটা স্থানান্তরে, একই সাথে অনেকগুলো কম্পিউটার ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সিনক্রোনাস
 ডেটা  ট্রান্সমিশন পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত হয়।

   আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশনঃ

  এ পদ্ধতিতে প্রেরক ও প্রাপক স্টেশনের মধ্যে ডেটা ট্রান্সমিশন ডিলে সর্বনিম্ন রাখা হয় | অর্থাৎ   
 পরপর দুটি ব্লকের ডাটা ট্রান্সফারের সময় 0 সেকেন্ডে করবার চেষ্টা করা হয় ।আইসোক্রোনাস    ট্রান্সমিশন কে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর উন্নত সংস্করণ ও বলা হয় ।সাধারণত রিয়েল 
  টাইম অ্যাপ্লিকেশনের ডাটা ট্রান্সফারের পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হয় |

 আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন আবার দুই প্রকারঃ

 (১) সিরিয়াল ও (২)প্যারালাল ট্রান্সমিশন পদ্ধতি
  ১.সিরিয়াল ট্রান্সমিশন : এ ধরনের ট্রান্সমিশনের প্রতিবারে সাত বিটের  তথ্য পাঠানো হয়  | উৎস 
  থেকে গন্তব্য দূরত্ব বেশি হলে এ পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করা হয় |



  ২.প্যারালাল ট্রান্সমিশন : এ পদ্ধতিতে অনেকগুলো তার দিয়ে একসাথে অনেকগুলো বিট পাঠানো

  হয়  | দূরত্ব বেশি হলে খরচ বেশি হয় |

ডেটা ট্রান্সফার তার মাধ্যমঃ

ডেটা ট্রান্সফারের তার মাধ্যমকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১.টুইস্টার পেয়ার ক্যাবল।
২.কোএক্সিয়াল পেয়ার ক্যাবল।
৩. ফাইকার ক্যাবল

টুইস্টার পেয়ার ক্যাবলঃ


 


টুইস্টেড পেয়ার (Twisted Pair) হল একটি তার মাধ্যম যা ডেটা আদান প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয় নেটওয়ার্কিং এর কাজের জন্য এটি সর্বাধিক ব্যবহার করা হয় কেননা এতে খরচ কম
টুইস্টেড পেয়ারে ক্যাবল মুলত জোরা ( টি), জোড়ার একটি হ্ল কন্ডাক্টর আরেকটি হল ইন্সুলেটর। সবগুলোই নিজস্ব প্লাস্টিক আবরণে জড়ানো থাকে আর প্রত্যেক জোড়া পরস্পরের সাথে জড়ানো থাকে এই সবগুলো তার (wire) আবার একত্রে প্লাস্টিকের তৈরী একটি আবরণ
 দ্বারা আবৃত থাকে ভিতরের তার (wire) মিমি পুরু হয়
এনালগ ডিজিটাল উভয় সিগন্যাল আদান প্রদানের জন্য টুইস্টেড পেয়ার ব্যবহৃত হয় এটির ডেটা ট্রান্সফার রেট 64 Kbps থেকে 40 Gbps
আমরা আমাদের এলাকা সমূহে যে সকল ব্রডব্যান্ড লাইন (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) দেখি তার বেশীরভাগ (৯০% এর উপরে) টুইস্টেড পেয়ার দিয়ে কানেকশন দেয়া হয় ছাড়া টেলিফোন যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই ক্যাবল ব্যবহৃত হয়
টুইস্টিড পেয়ার ক্যাবলের সুবিধাসমূহ :

  1. কম দূরত্বে যোগাযোগ ক্যাবল হিসাবে টুইস্টিড পেয়ার ক্যাবল ব্যাপকভাবে ব্যবহারিত হয় ।
  2. সহজে মেরামত করা যায় ।
  3. এটি অন্যান্য ক্যাবলের চেয়ে দাম সস্তা ।
  4. সহজে স্থাপন করা যায় ।
  5. এটি পুরোনো ডেটা প্রেরন পদ্ধতি ।
  6. অ্যানালগ এবং ডিজিটাল উভয় ধরনের ডেটা প্রেরনের জন্য টুইস্টিড পেয়ার ক্যাবল ব্যাবহিত হয় ।
টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের অসুবিধা সমূহ :

  1. বেশি দূরত্বে ডেটা পাঠানোর জন্য ২ কিঃমিঃ পর পর রিপিটার ব্যবহার করতে হয় ।
  2. ট্রান্সমিশন লসও অপেক্ষাকৃত বেশি ।
  3. গঠন পাতলা হবার কারনে সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে ।
  4. সহজেই ভয়েজ সিগনাল দ্বারা প্রভাবিত হয় ।
  5. এ ক্যাবল ব্যবহার করা হয় ১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে তথ্য প্রেরনের জন্য।
টুইস্টিড পেয়ার ক্যাবল এর ব্যবহার :

  1. টেলিফোন লাইন এই ক্যাবল ব্যাবহিত হয় ।
  2. ডিজিটাল সিগনাল ও ল্যান এর ক্ষেত্রে এ ধরনের ক্যাবল ব্যবহারিত হয়।
কো-এক্সিয়ার পেয়ার ক্যাবলঃ


কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের কেন্দ্র দিয়ে অতিক্রম করে একটি সলিড কপার তার। এ তারকে ঘিরে জড়ানাে থাকে প্লাস্টিকের ফোমের ইনসুলেশন। এ ইনসুলেশনের উপর আরেকটি পরিবাহী তার প্যাঁচানো থাকে বা তারের জালি বিছানাে থাকে। এই তার বা জালি বাইরের বৈদ্যুতিক ব্যতিচার থেকে ভেতরের সলিড কপারকে রক্ষা করে, ফলে ডেটা বা সিগন্যাল সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারে। বাইরের পরিবাহককে প্লাস্টিক জ্যাকেট দ্বারা ঢেকে রাখা হয়। এ ক্যাবল বাইরের বৈদ্যুতিক ব্যতিচার দ্বারা সাধারণত প্রভাবিত হয় না বলে এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে উচ্চ বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে এর ব্যতিচার লক্ষ্য করা যায়।

এ ধরনের ক্যাবলের ডেটা ট্রান্সফার রেট তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। তবে ডেটা ট্রান্সফার রেট তারের দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত কো-এক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহার করে এক কিলােমিটার পর্যন্ত দূরত্বে ডিজিটাল ডেটা প্রেরণ করা যায়, এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সফার রেট 200 Mbps পর্যন্ত হতে পারে এবং ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত কম হয়। নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত কো-এক্সিয়াল ক্যাবলকে প্রধানত দুভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ
  1. থিননেট
  2. থিকনেট
কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবল ব্যবহার করে কোন রিপিটার ছাড়াই সাধারণত ১ (এক) কিলােমিটার পর্যন্ত দূরত্বে ডেটা প্রেরণ করা যায়। এক্ষেত্রে ডেটা ট্রান্সফার রেট ২০০ Mbps পর্যন্ত হয় এবং ডেটা ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত কম হয়।

কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের বৈশিষ্ট্য:

১. সহজে স্থাপন করা যায়।
২. অধিক নিরাপদ।
৩. দামে কম।
৪. অধিক দূরত্বে ডেটা প্রেরণ।
৫. অধিক গতিতে ডেটা প্রেরণ।

কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের সুবিধা:

১.ফাইবার অপটিক ক্যাবলের তুলনায় দামে সস্তা।
২.  অ্যানালগ এবং ডিজিটাল উভয় ডেটা ট্রান্সমিশনে এ ক্যাবল ব্যবহৃত হয়।
৩.  টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবলের চেয়ে অধিক দূরত্বে ডেটা পাঠানাে যায়।
৪. ট্রান্সমিশন লস অপেক্ষাকৃত কম হয়।
৫. এই ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে বেশি ব্যবহৃত হয়।
৬. কো-এক্সিয়াল ক্যাবল সহজেই ইনস্টল করা যায়।

    কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের অসুবিধা:

    ১. টুইস্টেড পেয়ার ক্যাবল অপেক্ষা কিছুটা ব্যয়বহুল।
    ২. কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক ডিভাইসের মধ্যে সংযােগ স্থাপন করা কিছুটা কঠিন।
    ৩. তারের দৈর্ঘ্যের উপর ডেটা ট্রান্সমিশন রেট নির্ভর করে।
    ৪. রিপিটার ছাড়া ১ কিলােমিটার বেশি দূরে ডেটা পাঠানাে যায় না।

    কো-এক্সিয়াল ক্যাবলের ব্যবহার:

    ১. কো-ক্যাবল প্রধানত লােকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের জন্য ব্যবহৃত হয়।
    ২. ক্যাবল টিভি সিস্টেমে এর ব্যবহার দেখা যায়।

    অপটিক্যাল ফাইবার(ইংরেজি: Optical fiber):


     একধরনের পাতলা, স্বচ্ছ তন্তু বিশেষ, সাধারণত কাঁচ অথবা প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হয়, যা আলো পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে লম্বা দুরত্বে অনেক কম সময়ে বিপুল পরিমাণ তথ্য পরিবহন করা যায়। অপটিক্যাল ফাইবারের আরো অনেক সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এই ব্যবস্থায় তথ্য পরিবহনে তথ্য ক্ষয় কম হয়, তড়িৎ-চুম্বকীয় প্রভাব থেকে মুক্ত ইত্যাদি।

    ইতিহাসঃ

    যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে অপটিক্যাল কনসেপ্ট প্রথম আবিস্কার করেন ফরাসি বিজ্ঞানী Claude Chappe কর্তৃক ১৭৯০ সালে আবিস্কৃত অপটিক্যাল টেলিগ্রাফ। এই পদ্ধতিতে মনুষ্য অপারেটর এক টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে বার্তা পাঠাতো। কিন্তু পরে ইলেক্ট্রিক টেলিগ্রাফ আসায় এই পদ্ধতি অকেজো হয়ে যায়। পরবর্তীতে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ১৮৮০ সালে অপটিক্যাল টেলিফোন সিস্টেম আবিস্কার করেন যা ফটোফোন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। তিনি বাতাসে আলোক সিগণ্যাল পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করেছিলেন কিন্তু আবহাওয়া আলোকে যথার্থভাবে ট্রান্সমিট করতে পারতো না। ফলে তার এই উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। বর্তমান ফাইবারে যে আলোর পূর্ণ আভ্যন্তরীন প্রতিফলন হয়, তা আবিস্কার করেন সুইস পদার্থবিদ Daniel Collodon ও ফরাসি পদার্থবিদ Jacones Babinet ১৮৪০ সালে। এই ধারণা নিয়ে ১৯২০ সালে Henrich Lamm এবং Munich নামের এক ছাত্র টেলিভিশনের ইমেজ বা ছবি স্বচ্ছ কাঁচদণ্ডের মধ্য দিয়ে পাঠাতে সমর্থ হন। কিন্তু তাদের আবিস্কৃত ইমেজ কোয়ালিটি খুব একটা ভাল ছিল না। এতদিন পর্যন্ত যেভাবে ট্রান্সমিশন করা হতো, তার সবই ছিল আনক্লাডিং। সেই কারণে বেশিরভাগ আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় সিগণ্যাল দূর্বল হতো। পরবর্তিতে আমেরিকান পদার্থবিদ Brian O'Brien সর্বপ্রথম ক্লাডিং অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারে সমর্থ হন।

    ফাইবার অপটিকের বৈশিষ্ট্যঃ


    ১. ইলেকট্রিসিট্রি মতো আলোক সংকেত বাইরে ছড়িয়ে পড়ে না বলে এতে এটেনুয়েশন নেই বললেই

        চলে ।এটেনুয়েশন না থাকার মাঝ দিয়ে সিগনাল অনেক দূরত্ব পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারে ।
    ২. ফাইবার অপটিক্যাবল  ইএমআই নেই বলে এই সব স্থানে ব্যাবহার করা যায় ।এমনকি যেখানে
         অনেক ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কশপের মাঝে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হলে একমাএ ফাইবার
         অপটিকই দিতে পারে ই-এম-আই থেকে মুক্তি।
    ৩. এটি ইলেকট্রিক্যাল সিগনাল পরিবর্তে আলোক বা লাইট সিগনাল টান্সমিট করে ।
    ৪. এতে আলোকের পূর্ন অভ্যন্তরীন প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্য গমন করে ।
    ৫. এতে জিবিপিস রেঞ্জ বা তার চেয়ে বেশি গতিতে ডেটা চলাচল করতে পারে ।
    ৬. নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন হিসাবে ফাইবার অপটিক ক্যাবল অধিক ব্যাবহারিত হয়।

    ফাইবার ক্যাবলের সুবিধা:

    ১. উচ্চ ব্যান্ডউইড সম্পন্ন
    ২. বিদ্যুৎ চৌম্বক প্রভাব হতে মুক্ত
    ৩. নির্ভল ডেটা আদান-প্রদান করে
    ৪. পরিবেশনের তাপ-চাপ ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয় না
    ৫. আকারে ছোট ,ওজন অত্যন্ত কম, এবং সহজে পরিবহনযোগ্য
    ৬. শক্তির ক্ষয় কম ।
    ৭.ডেটা সংরক্ষনের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বেশি
    ৮. রিপিউটারসমূহ অনেক দূর দূরে স্থাপন করতে হয় না ।

    ফাইবার ক্যাবলের অসুবিধা:
    1. ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইনস্টল করা বেশি কঠিন
    2. একে প্রয়োজনমতো বাকানো যায় না বলে ইনস্টল বেশ কঠিন হয়ে পড়ে ।
    3. ফাইবা অপটিক ক্যাবলকে সহজে স্নাইস বা টুকরো করা যায় না । এর স্নাইসিং এর জন্য দরকার পড়ে ইলেকট্রিক ফিউশিন কিংবা কিমেক্যাল এপোক্সি ।
    4. অন্যান্য ক্যাবলের চেয়ে দাম বেশি ।
    5. অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপন এবং রক্ষানাবেক্ষন করার জন্য দক্ষ ও কারিগরি জ্ঞানসমূন্ন জনবল প্রয়োজন ।
    প্রশ্ন: হাব কাকে বলে?


    হাব:
     
    হাব হচ্ছে তারযুক্ত নেটওয়ার্ক থাকা অনেকগুলো আাই সি টি যন্ত্র যা কম্পিউটারকে একসাথে যুক্ত করে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দেয় ।
    প্রশ্ন: নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় হাব ব্যবহারে সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কী কী?
    উত্তর: নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় হাব ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো নিচে দেওয়া হলো।

    সুবিধা:

    ১. বিভিন্ন ধরনের মিডিয়াকে সংযুক্ত করে থাকে।
    ২. এটি স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়।
    ৩. হাব ব্যবহারে অল্প পরিসরে ছোট নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।

    অসুবিধা:


    ১. ডেটা আদান-প্রদানে বাধার সম্ভাবনা থাকে।
    ২. অনেক ডেটা একসঙ্গে পাঠালে সময় বেশি লাগে।
    ৩. গতি কম হয়।


    সুইজ:




    নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে সুইচ হলো এমন একটি যন্ত্র যা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে তথ্য প্যাকেট আদানপ্রদানের সময় ফিল্টারিং এবং প্যাকেট ফরোয়ার্ডিং করতে পারে। সুইচ ওএসআই লেয়ারের অন্যতম ডাটা লিঙ্ক লেয়ারে কাজ করে। তবে কখনো কখনো এটি নেটওয়ার্ক লেয়ারেও কাজ করে।

    নেটওয়ার্ক সুইচ আর নেটওয়ার্ক হাব কম্পিউটার নেটওয়ার্কি এর মুল স্তম্ভ। নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে সুইচ হলো এমন একটি যন্ত্র যা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে তথ্য প্যাকেট আদানপ্রদানের সময় ফিল্টারিং এবং প্যাকেট ফরোয়ার্ডিং করতে পারে। সুইচ ওএসআই লেয়ারের অন্যতম ডাটা লিঙ্ক লেয়ারে কাজ করে। তবে কখনো কখনো এটি নেটওয়ার্ক লেয়ারেও কাজ করে। যেসব লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান) তাদের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যোগাযোগের জন্য সুইচ ব্যবহার করে তাদের বলা হয় সুইচড ল্যান।

    সুইজের সুবিধা:

    ১. সুইচ প্রেরিত সংকেতকে সরাসরি নির্দিষ্ট গন্তব্যে প্রেরণ করতে পারে।
    ২. উচ্চ গতিতে ডেটা প্রেরণ করতে পারে।
    ৩. ডেটা আদান-প্রদানের সময়ে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
    ৪. একই সাথে একাধিক টার্মিনালে ডাটা আদান-প্রদানে সক্ষম।
    ৫. ডেটা আদান-প্রদানে সময় কম লাগে।
    ৬. ডেটা ফিল্টারিং করে।

    অসুবিধা:

    ১. হাবের তুলনায় দাম বেশি।
    ২. কনফিগারেশন জটিল।
    ব্যাবহার:

    স্থানিক এরিয়া নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে স্টার, ট্রি টপোলজিতে ব্যবহৃত হয়।



    Data Transmission Mode
    কত প্রকার কি কি?

    ডাটা বা তথ্য আদান প্রদানের ব্যবস্থাকে বলা হয় ডাটা ট্রান্সমিশন মোড। আমরা যখন কারো সাথে কথা বলি তখন আমরা ডাটা বা তথ্য আদান প্রদান করে থাকি।মোবাইলে ব্রাউজিং করার সময় ব্রাউজার আমাদের তথ্য বা ডাটা প্রদান করে থাকে। ফোনে কথা বলার সময় উভয় প্রান্তে আমরা ডাটা আদান প্রদান করে থাকি। চারদিকে তাকালে এরকম কোটি কোটি আদান-প্রদান দেখতে পাই আমরা। আদান-প্রদানের

    উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে ৩ ভাগে ভাগ করা

    হয়। তা হলোঃ

    ১.   সিমপ্লেক্স
    ২.    হাফ ডুপ্লেক্স
    ৩.  ফুল ডুপ্লেক্স


    সিমপ্লেক্স:
    সিম্পলেক্স নামটি শুনেই মনে হচ্ছে সিম্পল কিছু। একদম সঠিক,


    সিপ্লেক্স ডাটা ট্রান্সমিশন মোড দিয়ে বুঝায় সিম্পল ডাটা আদান-প্রদান।এই ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে ডাটা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ট্রান্সফার হয়।যদি একটি ওয়ান ওয়ে রোডের কথা চিন্তা করি তবে সেখানে একটি নির্দিষ্ট দিক থেকে আরেকটি দিকে গাড়ি চলাচল করে।



    উদাহারণঃ
    আমরা কিবোর্ডে চাপ দিলে ডিসপ্লেতে সংখ্যা বা ক্যারেক্টার কিছু


    দেখায়। এতে কিবোর্ড থেকে ডাটা ডিসপ্লেতে ট্রান্সফার হয়। কিন্তু

    ডিসপ্লে থেকে ডাটা কখনোই কিবোর্ডে আসা সম্ভব নয়। একই ভাবে আমরা টিভি, রেডিও ইত্যাদি থেকে আমাদের কাছে ডাটা বা তথ্য আসে। কিন্তু আমরা চাইলে কখনো টিভি বা রেডিওতে ডাটা ট্রান্সফার করতে পারব না।এ পদ্ধতি একমুখী এতে একদিকেই ডাটা ট্রান্সফার হয়।

    হাফ ডুপ্লেক্স
    এর নাম শুনে মনে হচ্ছে কিছুটা ডাবল কিন্তু হাফ শুনে মনে হচ্ছে


    ডাবলের অর্ধেক। এই পদ্ধতি কিছুটা জটিল। হাফ ডুপ্লেক্স হচ্ছে

    উভয়মুখী ডাটা ট্রান্সমিশন মোড যেখানে প্রাপক প্রেরক এর উভয়দিকে ডাটা ট্রান্সফার করা সম্ভব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এতে ডুপ্লেক্স এর মত উভয়দিকে একইসাথে ডাটা ট্রান্সফার করা যায় না। একটা রাস্তার উদাহারণ দেয়া যাক।


    এই রাস্তায় উভয়দিকে গাড়ি চলাচল করতে পারে। কিন্তু ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যায় একইসময়ে উভয়দিকে গাড়ি চলাচল কখনো সম্ভব নয়। কারণ উভয়দিকে একই সময়ে গাড়ি চলাচল করতে গেলে অবশ্যই একসিডেন্ট হবে। তখনই গাড়ি চলাচল করতে পারবে যখন একপাশের গাড়ি চলাচল থেমে যাবে। হাফ ডুপ্লেক্স এভাবেই কাজ করে। পদ্ধতিতে উভয়দিকে ডাটা ট্রান্সফার হতে পারে কিন্তু তা একই সময়ে পারে না।

    ফুল ডুপ্লেক্স
    এর নাম শুনেই বুঝা যায় এই পদ্ধতি কেমন হবে। আমার দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতি হচ্ছে ফুল ডুপ্লেক্স। এটি এমন এক ডাটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি যার সাহায্য একই সময়ে উভয় দিকে ডাটা ট্রান্সফার করা যায়।




    Post a Comment

    1 Comments

    Thank you for your comment.