ওয়েব ডিজাইন (Web Design):
একটি ওয়েব পেজের বিভিন্ন বিষয়বস্তু ব্যবহারকারীদের কাছে সুন্দর ও শিল্পিতরুপে উপস্থাপন করার নান্দনিক কাজটিকেই ওয়েব ডিজাইন বলা হয়।
WWW এর পূর্ণরূপ -World Wide Web
World Wide Web:
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হচ্ছে বিশ্বব্যাপী বন্টিত গতিশীল ইন্টারঅ্যাকটিভ ইনফরমেশন সিস্টেম যা ইন্টারনেটে ব্যবহার হয়।
তিনটি নতুন প্রযুক্তির সমন্বয়ে ওয়েব গড়ে উঠেছে। যথাঃ
১. প্রথমত, HTML ( Hyper Text Markup Language) যা দ্বারা ওয়েবপেজ লেখা হয়।
২. দ্বিতীয়ত, HTTP (Hyper Text Transfer Protocol) যা দ্বারা ওয়েব সার্ভার ও ওয়েব ক্লায়েন্ট এর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে।
৩. তৃতীয়ত, Web Browser যে প্রোগ্রাম ডেটা রিসিভ ও অনুবাদ করে ক্লায়েন্টকে ফলাফল প্রদর্শন করে। যেমন: গুগল ক্রোম।
ওয়েবপেইজঃ
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার উপযোগী ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত সার্ভারে রাখা ফাইলকে ওয়েবপেইজ বলে। ওয়েব পেইজকে আবার ওয়েব ডকুমেন্টও বলে।
১.HTML (Hyper Text Markup Language): এটি ওয়েবপেইজ তৈরির মৌলিক ভাষা যা দিয়ে ওয়েবপেইজের মূল কাঠামো তৈরি করা হয়। HTML- এর সাথে অন্যান্য ফাইল যুক্ত করে ওয়েবপেইজকে সুন্দর করা হয়। এ ধরনের ফাইলের এক্সটেনশন- '.html' ।
২. CSS (Cascading Style Sheet): ওয়েবপেইজ লেআউট তৈরি করা ও সুন্দরভাবে ডিসপ্লে ভেরিয়েশনের জন্য CSSব্যবহার করা হয়। এ ধরনের ফাইলের এক্সটেনশন- ‘.CSS’
৩. Java Script: এটি একটি স্ক্রিপ্টিং ভাষা। পেইজগুলোতে ইন্টারঅ্যাকটিভিটি প্রদানের লক্ষ্যেই জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহৃত হয়। জাভাস্কি সাধারণত HTML পেইজগুলোতে সরাসরি সংযুক্ত করে দেওয়া হয়ে থাকে। এধরনের ফাইলের এক্সটেনশন- '.js'
৪. PHP (Hypertext Preprocessor) : এটি একটি সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং ল্যাংগুয়েজ।PHP স্ক্রিপ্টগুলো সার্ভারে কার্যকর হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন ধরনের ডেটাবেজ সামর্থন করে। এর ফাইল এক্সটেনশন হলো-’.php' ।
ওয়েব সাইটঃ
একই ডোমেইনের অধীনে পরস্পর সংযোগযোগ্য একাধিক ওয়েবপেইজের সমষ্টিকে ওয়েবসাইট বলে।
ওয়েব পোর্টালঃ ওয়েব পোর্টাল হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেইজের সমষ্টি যেখানে অনেকগুলো উৎস থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লিংক, কন্টেন্ট ও সার্ভিস সংগ্রহিত থাকে। যা ব্যবহারকারীদেরকে সহজবোধ্যভাবে তথ্য উপস্থাপন করে। এরূপ একটি ওয়েব পোর্টালের নাম হেচ্ছে - www.bangladesh.gov.bd
ওয়েব সাইটের প্রকারভেদঃ
গঠন বৈচিত্রের ওপর ভিত্তি করে ওয়েবপেইজ বা ওয়েবসাইটকে সাধারণত দুইভাবে ভাগ করা যায়।
যথাঃ
১. স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট ।
২. ডাইনামিক ওয়েবসাইট।
১. স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট: যে সকল ওয়েব সাইটের ডেটার মান ওয়েবপেইজ পদর্শন করার পর পরিবর্তন করা যায় না তাকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট বলে। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট শুধু HTML ভাষা দিয়ে তৈরি করা যায়।
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট এর বৈশিষ্ট্যঃ
১. কনটেন্ট নির্দিষ্ট থকে।
২. ব্যবহারকারী তথ্য প্রদান বা আপডেট করতে পারে না্
৩. খুব দ্রুত লোড হয়।
৪. কোনো রকম ডেটাবেজের সাথে সংযোগ থাকে না।
৫. কেবলমাত্র সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে একমুখী কমিউনিকেশন হয়।
৬. শুধু HTML ও CSS ব্যবহার করেই এটি তৈরি করা যায়।
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের সুবিধা:
১. খরচ কম।
২. ওয়েবসাইট তৈরি ও নিয়ন্ত্রন খুব সহজ।
৩. অতি দ্রুততা , দক্ষতা ও নিরাপত্তার সাথে কনটেন্ট সরবরাহ করা যায়।
৪. খুব সহজে সার্চ ইঞ্জিন পরিচালনা করা যায়।
৫. সহজে ওয়েবপেইজের লে-আউট পরিবর্তন করা যায়।
৬. নেট স্পীড খুব কম হলেও দ্রুততার সাথে ডেটা ডাউনলোড করা যায়।
স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের অসুবিধাঃ
১. কনটেন্ট আপলোড করতে প্রচুর সময় লাগে।
২. ওয়েবসাইটের আকার বৃদ্ধির সাথে সাথে কনটেন্টগুলো নিয়ন্ত্রন করা কঠিন হয়ে যায়।
৩. মানসম্মত ওয়েবপেইজ ডিজাইনিং অত্যন্ত কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ।
৪. ব্যবহারকারীর নিকট হতে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে না।
ডাইনামিক ওয়েবসাইটঃ
যে সকল ওয়েবসাইট ডেটার মান ওয়েবপেইজ পদর্শনের পরেও পরিবর্তন করা যায় তাকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলে।
ডাইনামিক ওয়েবসাইটের সুবিধাঃ
১. পরিবর্তনশী তথ্য বা ইন্টারঅ্যাকটিভ ওয়েবপেইজ তৈরি করা যায়।
২. রানটাইমের সময় পেইজের ডিজাইন বা কনটেন্ট পরিবর্তন হতে পারে।
৩. ডেটাবেজ ব্যবহৃত হওয়ায় কুয়েরি করে তথ্য বের করার সুযোগ থাকে।
৪. সব সময় ব্যবহার কারী তথ্য প্রদান বা তথ্য আপডেট করতে পারে।
৫. ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী পেইজ এর কনটেন্ট পরিবর্তন হতে পারে।
৬. তথ্য বা বিষয়বস্তু আপডেট খুব দ্রুত করা যায়।
৭. নির্ধারিত ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ধারিত পেইজ পদর্শনের ব্যবস্থা করা যায়।
৮. ব্যবহারকারীর নিকট হতে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
৯. অনেক বেশী তথ্য বহুল হতে পারে।
১০. আকর্ষণীয় ও ইন্টারঅ্যাকটিভ লে-আউট তৈরি করা যায়।
অসুবিধাঃ
১. ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয় ফলে ব্যবহারকারীর ব্রাউজার লোড হতে বেশি সময় নেয়।
২. উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন করা তুলনামূলক জটিল।
৩. খরচ বেশি।
0 Comments
Thank you for your comment.