Ticker

6/recent/ticker-posts

ডেটা, তথ্য, বিট, বাইট, ডেটা ট্রান্সমিশন কি? কাকে বলে? কত প্রকার? কি কি?


Data: শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Datum এর বহুবচন। Datum অর্থ হচ্ছে তথ্যের উপাদান। তথ্যের অন্তর্ভূক্ত ক্ষুদ্রতর অংশসমূহ হচ্ছে ডেটা বা উপাত্ত। ... যেমনঃ , , , ইত্যাদি অথবা সূর্য, চন্দ্র, গাড়ি বা অন্য যেকোনাে কিছুই ডেটা

তথ্য: ( Information ) ডেটার অর্থবহ রূপই হল তথ্য বা ইনফরমেশন কম্পিউটারের ভাষায় , কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে কম্পিউটারে ডাটা প্রক্রিয়াকরণের ফলে প্রাপ্ত ফলাফলকে ইনফরমেশন বা তথ্য বলে 

বিটঃ বাইনারি পদ্ধতিতেঅথবাকে বিট বলা হয় অথবা বলা যায় যে বাইনারি ডিজিট কথাটার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো বিট।

বাইটঃ বাইট হল তথ্য পরিমাপের একটি একক। প্রতিটি বাইনারি অঙ্ককে বিট বলা হয় এবং ৮টি বিটকে এক বাইট বলা হয়।

ক্যারেক্টারঃ এক বাইট ডেটাকে এক ক্যারেক্টার বলে।

ডেটা ট্রান্সমিশনঃ ডেটা বা উপাত্ত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে প্রেরন করাকে ডেটা ট্রান্সমিশন বলে।

ট্রান্সমিশন মোড কি ?

 উত্তরঃ দুইটি ডিভাইস (মোবাইল ফোন, কম্পিটার ইত্যাদি) এর মধ্যে ডাটা (মেসেজ, ভয়েস কল, ভিডিও কল, ফাইল, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি) স্থানান্তর কে ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়

ডেটা ট্রান্সমিশন মেথড

উৎস থেকে গন্তব্য পাঠানোর বেশ কয়কটি পদ্ধতি আছে প্রতি বাএ একসাথে কত বিট ডেটা পাঠানো যায় তার উপর ভিত্তি করে ডেটা ট্রান্সমিশনের দুটি উপায় আছে

যথা 

প্যারালাল ডেটা ট্রান্সমিশন  

যে ট্রান্সমিশনে ডেটা সমান্তরালভাবে আদান প্রদান হয় তাকে প্যারালাল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে এই পদ্ধতি একাধিক তাদের মধ্যে দিয়ে ডেটা পাঠানো হয় সাধারনত ট্রান্সমিশনে ৮বিট ১৬ বিট বা ৩২ বিট ইত্যাদি ডেটা চলাচল করতে পারে দূরত্ব বেশি হলে এই পদ্ধতিতে অনেক তারের খরচ লাগে বলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা মূল্য সাশ্রয়ী নয় প্রিন্টারে ডেটা পাঠানো জন্য প্র্যারালাল পদ্ধতি ব্যবহারিত হয়

সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন  

যে ট্রান্সমিশনে ডেটা তথ্য পর্যায়ক্রমে বিট করে আদান প্রদান করে তাকে সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশন বলে এই পদ্ধতিতে একসাথে আট বিট ডেটা পাঠানো হয়ে থাকে ।উৎস থেকে গন্তব্য পর্যন্ত দূরত্ব বেশি হলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই

এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশন হওয়ার সময় অবশ্যই দুই কম্পিউটারে মধ্যে এমন একটি সমঝোত থাক দরকার যাতে সিগনাল বিটের শুরু শেষ বুঝতে পারে বিটের শুরু শেষ বুঝতে পারে না ।বিটের শুরু শেষে বুঝতে না পারলে  গ্রহীতা কম্পিউটার সেই সিগনাল থেকে ডেটা পুনরুদ্ধার পারে না এই সিগনাল পাঠানোর সময় বিভিন্ন বিটের সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার পদ্ধতিকে বলা হয় সিনক্রোইজেশন সিনক্রোইজেশন  উপর ভিত্তি করে সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সমিশনকে তিনভাগে ভাগ করা যায়  

·         অ্যাসিনক্রোয়ান ট্রান্সমিশন

·         সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন

·         আইসোক্রোনাস ট্রান্সমিশন

অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন  যে ডেটা ট্রান্সমিশন সিস্টেমে প্রেরক হতে ডেটা গ্রাহকে ক্যারেক্টার ট্রান্সমিশন হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে

কিবোর্ড থেকে কম্পিউটারে কিংবা কম্পিউটার থেক প্রিন্টারে ডেটা পাঠানোর জন্য পদ্ধতি ব্যবহার হয়

ডেটা ট্রান্সমিশনের বৈশিষ্ট্য হলো 

·         যেকোন সময় প্রেরক ডেটা পাঠাতে পারে এবং গ্রাহক প্রাপক তা গ্রহন করতে পারে

·         প্রতিটি ক্যারেক্টর এর সাথে একটি স্টার্ট বিট এবং একটি স্টপ বিট পাঠানো হয়

·         কম ডেটা ট্রান্সমিশন এর ক্ষেত্তে বেশি উপযোগী

·         গতি কম

·         দক্ষতা কম।

·         প্রেরক স্টেশনে প্রাইমারি স্টোরেজ প্রয়োজন  হয় না

·         ডেটা চলাচল বন্ধ থাকলে মাধ্যমটি অব্যবহারিত অবস্থায় থাকে

·         খরচ তুলনা মূলক কম

অ্যাসিনক্রোয়ান ট্রান্সমিশনের সুবিধাসমূহ 

·         যে কোন সময় প্রেরক ডেটা স্থানান্তর করতে পারে এবং গ্রাহক তা গ্রহন করতে পারে

·         ডেটা ইনপুট করার পর তা সংরক্ষনের জন্য ডেটা বাফার রেজিস্টার প্রয়োজন হয় না

·         ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য প্রেরকের কোন প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয় না

·         এটির ইন্সটলেশন অত্যন্ত কম।

অ্যাসিনক্রোয়ান ট্রান্সমিশনের অসুবিধাসমূহ

·         যখন ডেটা স্থানান্তর কাজ বন্ধ থাকে তখন ট্রান্সমিশন মাধ্যমটি অকারনে অব্যবহারিত অবস্থায় পড়ে থাকে যা মাইক্রোওয়েভ বা স্যাটেলাইট মাধ্যামে ক্ষেত্তে অত্যন্ত ব্যয়বহুল

·         সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের তুলনায় এর দক্ষতা কম ডেটা ট্রান্সমিশনে গতি কম।

·         ডেটা ট্রান্সমিশনে ভুল হবার সম্ভবনা বেশি থাকে

 

 


Post a Comment

0 Comments